রহিমাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন আমার স্মৃতির ঘোলাটে আয়না

প্রত্যেক মানুষের জীবনেই প্রাথমিক শিক্ষা একটি স্মৃতিময় কাল। শৈশব কালের এই শিক্ষা বাকি জীবনের বিভিন্ন স্তরে মধুর স্মৃতি জাগিয়ে তোলে। শিক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা জীবনব্যাপী হয়ে থাকে। কিন্তু ক্ষুদ্র পরিসরের প্রাথমিক শিক্ষা জীবনের ছোটো ছোটো ঘটনাগুলো পরবর্তী জীবনে অনেক বড়ো হয়ে দেখা দেয়। জীবনের বাঁকে সুতোর গুটির মতো ঘটনাগুলো যেন জীবন্ত লুকিয়ে থাকে। জীবন সায়াহ্নে এসে মানুষ সকল কিছু ফেলে শৈশবে ফিরে যেতে চায়। বর্তমান রহিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্মৃতি-কাতরতা আমার জীবনব্যাপী প্রবাহমান। অনেক দিন হয়ে গেলেও মনে হচ্ছে, এখনো বুঝি আমি রহিমাবাদ স্কুলের ছাত্র। মাত্র দুই বছর পড়েছি সেই স্কুলে, অথচ মনে হয় হাজার বছর। আমার প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে খানিকটা ঘটনাবহুল কাহিনি আছে। ডবল প্রমোশন নিয়ে নিয়ে আমি প্রাইমারি স্কুলের পাঠগ্রহণ সমাপ্ত করেছি মাত্র আড়াই বছরে। কারণ, একটু বিলম্বে আমাকে স্কুলে ভর্তি হতে হয়েছিলো। ছোটো থাকতেই মাকে হারিয়েছি আর বাবাকে তো দেখিই নাই। আমার বয়স যখন এক-দেড় বছর, তখন বাবা মারা যান। শুনেছি, ছেলে হিসেবে বাবা আমাকে খুবই আদর করতেন। কিন্তু বাবার কথা একটুও মনে পড়ে না। তাঁর চেহারা বা কোনো অবয়ব আমার বিন্দুমাত্র স্মরণে নেই। ছোটোবেলা খুব চঞ্চল প্রকৃতির ও ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম আমি। ঘুরে বেড়াতাম আর খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক ছিলো বেশি। স্কুলে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করার কথা কখনো ভাবিনি।

পরম শ্রদ্ধেয় রুসুন পণ্ডিতের কথা
আমাদের গাঁয়ের স্কুলে একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ছিলেন আবদুল মাজেদ খান স্যার, যার ডাকনাম ছিলো রুসুন পণ্ডিত। একদিন  স্যার স্কুলে যাওয়ার পথে আমাকে লিচু গাছের উঁচু ডালে বসে আছি দেখে রাগ করলেন। স্কুলে যাই না কেন জিজ্ঞেস করে বললেন, “যদি স্কুলে না যাস, তবে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে।” স্যারের কথা শুনে চিন্তিত হয়ে পড়ি। তাছাড়া পুলিশকে খুব ভয় করতাম। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিলাম, স্কুলে ভর্তি হবো। ভয়ে ভয়ে স্যারকেও বললাম, “স্কুলে যাবো স্যার।” স্যার খুব খুশি হলেন। বললেন, “আর দেরি নয়, আগামীকাল থেকে চলে আসবি।” তখন ছিলো ১৯৬৪ সালের মাঝামাঝি সময়। আমার জন্ম ১৯৫৬ সালে। তখন আমার বয়স আট বছরের চেয়েও বেশি।

স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু
১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি, সম্ভবত জুলাই মাসে, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হই আমাদের দত্তেরগাঁও মডেল প্রাইমারি স্কুলে। হঠাৎ ভর্তি ও স্যারদের উৎসাহ পেয়ে ব্যাপকভাবে পড়াশোনা শুরু করি। কিন্তু বিড়ম্বনার বিষয় ছিলো যে, আমার সমবয়সী প্রায় সবাই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। আমার প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়টিকে অনেকে তুচ্ছজ্ঞান করে তাচ্ছিল্যের সাথে দেখছে মনে হতো। কেউ কেউ টিপ্পনি দিয়ে নতুন নাম করে খোঁচা দিয়ে কথা বলতো। এই অবস্থায় মাত্র ছয় মাস পড়াশোনা করে বার্ষিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। কিন্তু মাথায় এক আজগুবি বুদ্ধি তাড়া করলো। এক ক্লাশ বাদ দিয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে। স্যারদের সাথে আলাপ করলাম ও সাহস করে ইংরেজি ‘ডবল প্রমোশন’ কথাটি ব্যবহার করে বলে ফেললাম, “আমাকে ডবল প্রমোশন দিতে হবে।” স্যারেরা তো এ-কথা শুনে তেলে-বেগুনে জ্ঝলে ওঠলেন। স্কুলের কিংবদন্তীতুল্য শিক্ষক ছিলেন মরহুম ফাইজউদ্দিন পণ্ডিত। তিনি বাংলা-ইংরেজির সংমিশ্রণে অনেক কথা শুনিয়ে দিলেন। নানা কথা বলে বলে হাসি-ঠাট্টায় বিভিন্ন উক্তি করলেন। পড়ে গেলাম মহা সমস্যায়। হেডস্যারসহ কোনো স্যারই আমার প্রস্তাবে রাজি হলেন না। বুঝিয়ে-সুঝিয়ে আমাকে অনেক পরামর্শ দিলেন। কিন্তু আমার রোগ সারলো না। অনন্যোপায় হয়ে রুসুন ও ফাইজউদ্দিন পণ্ডিতের স্কুলের মায়া ত্যাগ করলাম। মনের অদম্য বাসনা নিয়ে একদিন বাড়ি থেকে চলে গেলাম দূরের আদিয়াবাদ গ্রামে। ভর্তি হলাম পার্শ্ববর্তী রহিমাবাদ স্কুলে, তৃতীয় শ্রেণিতে, কোনোরকম বাধা ছাড়াই। টিসি আনার বিষয়টি খুব কড়াকড়ি করা হয়নি তখনো। তাছাড়া আমাকে গায়ে-গতরে বড়সড়ই দেখাতো।

যেভাবে রহিমাবাদ স্কুলে ভর্তি হওয়া সহজ হয়েছিলো
আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় একজন মৌলভী থাকতেন আদিয়াবাদ দক্ষিণপাড়ায়। মক্তবে আরবি পড়াতেন ছেলেমেয়েদের। তিনি প্রথমেই আমার লজিং থাকার ব্যবস্থা করলেন এক বাড়িতে। তখন লজিংয়ের প্রচলন ছিলো বেশি। থাকা-খাওয়ার বিনিময়ে বাড়ির দুইজন ছেলেমেয়েকে পড়াতে হবে। তারা তখন পড়তো প্রথম শ্রেণিতে, আর আগের বছরই আমি প্রথম শ্রেণি পাশ করেছি! মৌলভী সাহেব লজিং দিয়েছেন, সম্ভবত এই কারণে বাড়ির মালিক তেমন কিছু বলতে পারেননি।

তখন ছিলো পাকিস্তান আমল। পাক-ভারত যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছিলো। প্রতিদিন যুদ্ধের খবরাদি শুনতাম, যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতো নিজেদের মধ্যে। এরই মাঝে পড়াশোনা করে আমি ভালোভাবে চতুর্থ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হই। পাশ করার পর আমাকে পেয়ে বসে সেই পুরোনো রোগে, অর্থাৎ ডবল প্রমোশনের রোগ। আমার কথা শুনে স্যারেরা আশ্চর্য হলেন। ডর-ভয় রেখে সাহস নিয়ে এতোদিন পর আগের বছরের ডবল প্রমোশনের কথা স্যারদের বললাম। তাঁরা দত্তেরগাঁও স্কুলের মতো তেমন কিছু না বললেও আমাকে বোঝাতে চেষ্টা করলেন। আমি ছিলাম সিদ্ধান্তে অটল। এবার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়বোই। আর তাহলেই সমবয়সী যাদের পেছনে ছিলাম, তাদের সমান হয়ে যাবো। তখন রহিমাবাদ স্কুলে হোগলাকান্দীর একজন সহজ-সরল স্যার ছিলেন। নামটি ভুলে গেছি বলে দুঃখ লাগছে। তিনি অনেক বুঝিয়েও আমাকে রাজি করাতে না পেরে বললেন, “তুই যদি সাতদিনের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের সবকিছু পড়ে শোনাতে পারিস, তবে তোকে ডবল প্রমোশন দিতে চেষ্টা করবো।” যেই কথা, সেই কাজ। নাছোড়বান্দা হয়ে স্যারের নির্দেশমতো চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি বই পড়তে শুরু করলাম। নিজে নিজেই এবং প্রয়োজনে অন্যদের কিছু সহযোগিতা নিয়েও পড়েছি। ভুলভ্রান্তি কিছু ছিলো কি না, জানি না। তবে সাতদিনের মধ্যে পড়া শেষ করে ফেললাম এবং স্যারের সামনে গিয়ে হাজির হলাম। শ্রদ্ধেয় স্যার সেদিন আমার মুখের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন। কোনো পাঠই জিজ্ঞেস করলেন না। স্যারের নীরব সম্মতি পেয়ে পঞ্চম শ্রেণির বন্ধুদের সাথে গিয়ে বসতে লাগলাম। নিজেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ভেবে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলাম। সেদিন স্যার একবার শুধু বলেছিলেন, “আমাদের কথা শুনলি না তো, দুর্বল হয়ে উপরে উঠে যে-ভুল করলি, তার ফল ভোগ করবি জীবনভর।” স্যারের সে-কথা আমার সারা জীবন মনে আছে। তখন থেকে আজ অবধি যদি কোথাও পড়াশোনা বা অন্য কোনো বিষয়ে হোঁচট খেয়েছি, স্যারের মূল্যবান কথা আমার বারবার মনে পড়েছে, আমাকে তাড়িত করেছে। তবে দয়াময়ের কৃপায় খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি।

রহিমাবাদ স্কুল ও কিছু কথা
নরসিংদী জেলার রায়পুরা বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহৎ উপজেলা, যা তৎসময়ে ছিলো আরো বৃহৎÑ রায়পুরা থানা। এই উপজেলার অনেকটা পশ্চিম প্রান্তে আড়িয়াল খাঁ নদঘেঁষা রহিমাবাদ স্কুল। খোলামেলা পরিবেশে দক্ষিণমুখী ও দৃষ্টিনন্দন স্কুল এটি। জবরদস্ত ব্রিটিশ শাসনের সময় ১৯০৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। সময়টি ছিলো বঙ্গভঙ্গের ডামাডোলে উত্তেজনাপূর্ণ। তখন বাংলার গর্ভনর ছিলেন স্যার এন্ড্রু ফ্রেজার। স্বর্গীয় লালমোহন সাহার উদ্যোগে এবং তাঁর জ্ঞাতি কয়েকজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষানুরাগীদের সহায়তায় রহিমাবাদ একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলো। দীর্ঘ ১১৯ বছরে আলোকদ্যুতিবাহী বিদ্যালয়টি এলাকার মানুষকে  শিক্ষার আলোয় অনেক এগিয়ে নিয়েছে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বহু বিপ্লবী রহিমাবাদ থেকে তৈরি হয়েছিলো বলেও শুনেছি। এ-বিদ্যালয়ের সুনাম দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব নাজিম উদ্দীন মহোদয়ের সাথে কথা বলে অনেক ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারি।

তৎসময়ের স্কুলগৃহ, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকমণ্ডলী
দক্ষিণমুখী উত্তর ভিটেতে স্কুলগৃহটি ছিলো নড়বড়ে অবস্থায়, দোচালা টিনের ঘর। উত্তর ও পশ্চিমদিকে খানিকটা বেড়া থাকলেও বাকি দুইদিক খোলামেলা ছিলো। দুয়েকটি পার্টিশন মাঝে-মধ্যে দেয়া হতো। পাটের বস্তা/ছালা দিয়ে শ্রেণির পৃথকীকরণ করার চেষ্টাও করা হতো। এক শ্রেণি হতে অন্য শ্রেণির জন্যে বেঞ্চ টানাটানি করতাম আমরা। প্রতিদিন ক্লাশ শুরুর পূর্বে স্যারদের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ বিদ্যালয়গৃহ ও আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হতো। আমাদের হেডস্যার আসতেন গৌরীপুর থেকে। আমরা বলতাম গৌরীপুরের স্যার। হেডস্যারের নাম জিজ্ঞাসা করবো এমন বুকের পাটা কারো ছিলো না। এজন্যে হোগলাকান্দীর স্যার ও গৌরীপুরের স্যারের নাম মনে করতে পারছি না। অন্যান্যদের মধ্যে ইয়াকুব আলী স্যার, কুতুবুদ্দিন স্যার ও অদুদ স্যারের কথা বেশ মনে আছে। তাঁদের আদর-শাসনের স্মৃতিগুলো আজো অমলিন। সহপাঠী বন্ধুদের নামগুলো ভুলে গেছি। অজিত চন্দ্র, নরেন্দ্র চন্দ্র, মোশাররফ, মজিদের চেহারা দৃষ্টির সীমায় এখনো কিছুটা হাজির হয়। অল্প সংখ্যক মেয়েরাও আমাদের সহপাঠী ছিলো, যাদের নাম মোটেও মনে করতে পারছি না।

তখন আমাদের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম ছিলো একমাত্র রেডিও। তবে স্কুল পর্যায়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো থেকে আমরা প্রচুর আনন্দ পেয়েছি। স্কুলের সহপাঠী ও বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, গানে, আবৃত্তিতে অংশগ্রহণের সুন্দর ব্যবস্থা ছিলো। আমাদের রহিমাবাদ বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে পাখিডাকা সুর, সবুজ শ্যামল প্রান্তর, সুবিন্যস্ত ফসলের মাঠ, সুন্দর ও সুউচ্চ গাছপালা, অরণ্য, নদী, খাল-বিল, বর্ষার দিনে ডিঙি ও পালতোলা  নৌকা দেখে দেখে কতো যে ভালো লাগতো। বিশেষ করে, আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে তীরে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ ছিলো অত্যন্ত মধুময়। রহিমাবাদ বাজারে একটি মিষ্টির দোকানের টসটসে রসগোল্লার কথা আজো ভুলতে পারি না। আড়িয়াল খাঁ নদের সারি সারি নৌকার কোনোটিতে চড়ে মাঝে-মধ্যে চলে যেতাম হাসনাবাদ বাজারে। ফিরে আসার পথে নৌকায় বসে গরম জিলাপি খাওয়ার কথা মনে হলে আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই সময়ে। তখনকার নরম নরম কাবলি বুট খাওয়ার কথা মনে হলে বিস্মিত হয়ে পড়ি। আরো যে কতো কথা, কতো গল্প, কতো স্মৃতি।

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর একদিন আমার প্রিয় স্কুলটিতে উপস্থিত হয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ি। চতুর্দিকে ঘুরে ঘুরে খুঁজতে থাকি হারিয়ে ফেলা সেই জীবন, শ্রদ্ধেয় স্যার আর বন্ধুদের। এখন পাকা দালান ঠাঁই পেয়েছে নড়বড়ে টিনের ঘরের জায়গায়। আছে পর্যাপ্ত বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল ও সুসজ্জিত আসবাবপত্র। নেই শুধু সেই দিন, সেই হাসি, সেই প্রাণ, সেই সব কণ্ঠ, উচ্ছ্বাস, আনন্দ, ছন্দোবদ্ধ সুর, গল্প, কবিতা আর গান। আমার স্যারেরা সে-সময় মাসিক ৩০-৪০ টাকা বেতনের জন্যে চাতক পাখির মতো পোস্ট অফিসের পিয়নের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। বারবার মনে হচ্ছিলো স্যারদের কথা। তাই মনের তাগিদ থেকে নিজের পরিচালনায় বর্তমান শিক্ষকমণ্ডলীকে নিয়ে পরবাসী স্যারদের জন্যে যৎসামান্য দোয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম মাত্র। এরই মাঝে সহসাই ছুটির ঘণ্টা বেজে ওঠে, ফিরে আসতে বাধ্য হই আপন ঠিকানায়। হয়তো আর দেখা হবে না বন্ধুদের সাথে। তবে হ্যাঁ, যতোদিন বেঁচে আছি, শৈশবস্মৃতিতে জড়ানো প্রিয় রহিমাবাদ স্কুল থাকবে আমার কাছে অমলিন ও অক্ষয়।


নূরুদ্দীন দরজী
সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ