স্বশিক্ষিত প্রত্নবিদ ও লোকসাহিত্যের নিভৃতচারী সাধক মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান

নিভৃতচারী, আত্মপ্রচারবিমুখ, সত্যনিষ্ঠ, আদর্শবান, স্বশিক্ষিত ও সাদাসিধে একজন মানুষের নাম মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান। বাবা মোহাম্মদ হানীফ পাঠান সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং প্রত্নতত্ত্বের একজন বিরল প্রতিভাসম্পন্ন সাধক ছিলেন। ছিলেন শিক্ষা, সমাজসেবা সাময়িকপত্রের সম্পাদক, লোকসাহিত্য-সংস্কৃতির গবেষক। কথিত আছে, এই পাঠান পরিবার সুদূর আফগানিস্তান থেকে ষোড়শ শতকে ভারতে আসে এবং তাদের বংশধররা ভাগ্যান্বেষণে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের বটেশ্বর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। বটেশ্বর বর্তমান বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার একটি বিখ্যাত গ্রাম। বটেশ্বরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম উয়ারী। উয়ারীবটেশ্বর খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থান এবং এখন দেশ-বিদেশখ্যাত। এই উয়ারী-বটেশ্বরকে দেশ-বিদেশখ্যাত করা এবং বর্তমান প্রত্নআলোচনা-প্রত্নগবেষণার জন্যে যিনি পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন, তিনি হানীফ পাঠান। তাঁরই সুযোগ্য সন্তান মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান।

মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠানও বাবার আদর্শ ধারণ করে গ্রামের মানুষের জীবন আলোকিত করার জন্যে শিক্ষকতা পেশা গ্রহণ করেন। বাবা বাঙালি জাতির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের শিকড় অনুসন্ধান করেছেন, লোকসাহিত্য-লোকশিল্প সংগ্রহে ব্রতী হয়েছিলেন। চর্চা করেছিলেন লোকসাহিত্যের। হাবিবুল্লাহ পাঠানও বাবার উত্তরাধিকার হিসেবে প্রত্ননির্দশন সংগ্রহ, প্রত্নগবেষণা এবং লোকসাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় ব্রতী হন। ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন : উয়ারী বটেশ্বর’ গ্রন্থের প্রসঙ্গকথায় হাবিবুল্লা পাঠান উল্লেখ করেন :

বাংলাদেশের প্রত্নক্ষেত্র সমূহের মধ্যে উয়ারী বটেশ্বর প্রাচীনতম। অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্ভাবনা অদ্যাবধি সুধীজনদের অজ্ঞাত থেকে যেতো যদি শ্রদ্ধেয় পিতা মোহাম্মদ হানীফ পাঠান সম্পর্কে আলোচনার সূত্রপাত না করতেন। ১৩৪০ (১৯৩৩) সালের পৌষ মাসে উয়ারী গ্রামে মাটি খননকালে আকস্মিকভাবে আবিষ্কৃত হয় অনেক ছাপাংকিত রৌপ্যমুদ্রা। এগুলোর অধিকাংশ শ্রমিকেরা বেনের কাছে বিক্রয় করে ফেলে। স্বল্প সংখ্যক মুদ্রা আব্বাজানের হস্তগত হয়। তিনি এগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করেপ্রাচীন মুদ্রা প্রাপ্তিশীর্ষক ছোট্ট সংবাদ সাপ্তাহিক মোহাম্মদীতে ছাপেন। এরপর থেকে স্থানের প্রাচীনত্ব সম্পর্কে তাঁর কৌতূহল বেড়ে যায়। ছেলেবেলা তিনি এখানকার মাটিতে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকা মূল্যবান পাথরের গুটিকা কুড়াতেন। দীর্ঘদিন তিনি মুদ্রা গুটিকাগুলো সযত্নে রক্ষা করেন।

১৯৫৫ সালে আমি যখন অধুনালুপ্ত বাজনাব সবুজ পল্লী হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি তখন তিনি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। পিতাপুত্র একসঙ্গে স্কুলে যেতে উয়ারী গ্রাম অতিক্রমকালে তাঁকে প্রায়ই দেখতাম নিবদ্ধ দৃষ্টিতে পথে পথে কি খুঁজছেন। এভাবেই তিনি মূল্যবান পাথরের গুটিকা খুঁজে পেতেন। পিতার অনুসন্ধান তৎপরতায় আমার বালক মনের উৎসুক্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। যেদিন আমি বড়ো আকৃতির সুদৃশ্য দুটো গুটিকা খুঁজে পাই সেদিন আমার আনন্দ দেখে কে? তিনি প্রায়ই এখানকার প্রাপ্ত নিদর্শন কিংবদন্তী খ্যাত অসম রাজার গড়ের কাহিনী বলতেন। এমনি করে আমিও পিতার অনুসরণে নানা নিদর্শন সংগ্রহে তৎপর হয়ে উঠি। ১৯৫৫ সালের জানুয়ারীর প্রথম দিকে বটেশ্বর গ্রামে মাটিখননকালে কয়েকটি ত্রিকোণাকার লৌহকুঠার শ্রমিকরা পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে গেলে আমি সেগুলো কুড়িয়ে নিই। এগুলো আব্বাজানকে দেখালে তিনি স্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে স্থির নিশ্চিত হন এবং একটি প্রবন্ধ রচনা করেন। প্রবন্ধটি দৈনিক আজাদ এর রবিবাসরীয় সংখ্যায় (৩০ জানুয়ারী ১৯৫৫) ‘পূর্ব পাকিস্তানে প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতাশিরোনামে মুদ্রিত হয়। তিনি কিছু নিদর্শন সংগ্রহ করে প্রবন্ধটি লিখে যেন অলক্ষ্যে একটা গুরুদায়িত্ব আমার স্কন্ধে তুলে দেন। সে সময় থেকে শুরু করে অদ্যাবধি অঞ্চলের ঝোপে জঙ্গলে, খনিতস্থানে, চষাভূমিতে, পথেঘাটে অনেকটা নেশাগ্রস্তের মতো নানা নিদর্শন সংগ্রহে ব্যাপৃত থাকি।

এভাবেই প্রথমত বাবা মোহাম্মদ হানীফ পাঠান এবং পরবর্তীতে সন্তান মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠানের প্রকাশিত নানা লেখা, গ্রন্থ, জাদুঘরে নানা প্রত্ননিদর্শন জমা, প্রত্নগবেষকদের কাছে ধর্না— এসবের মাধ্যমে সকলের দৃষ্টিগোচরে আসে উয়ারী-বটেশ্বর। শুরু হয় প্রত্নতত্ত্ববিদদের পরিদর্শন, প্রত্ননিদর্শন সংগ্রহ এবং গবেষণা। শেষে ২০০০ সাল থেকে শুরু হয় প্রত্নখনন কাজ, যার নেতৃত্ব দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। এখনো পর্যন্ত অনেক দফায় খনন কাজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ননিদর্শন পাওয়া গেছে। উয়ারী-বটেশ্বর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল মিলিয়ে এই পর্যন্ত ৫০ টি প্রত্নস্থান থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের পাথর, হাতিয়ার, মুদ্রা, পাথরের গুটি, পুঁতি, নানা ব্যবহার্য সামগ্রী, মৃৎপাত্র, গর্ত-বসতি, রাস্তা, দুর্গ-নগরী এবং প্রাচীনতম মহাজনপদ, যা বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুন করে জানার ও লেখার পথ উন্মুক্ত করেছে।

এসব নিদর্শন আবিষ্কার, গবেষণাকর্ম, খনন-ইতিহাসসহ নানা প্রসঙ্গ নিয়ে সুফি মোস্তাফিজুর রহমান এবং মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠানের যৌথ প্রচেষ্টায় ‘উয়ারী-বটেশ্বর : শেকড়ের সন্ধানে’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১২ সালে, যা প্রথম আলো বর্ষসেরা পুরস্কার ও আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার লাভ করে।

বাংলাদেশের শেকড়ের সন্ধান, বিশেষ করে উয়ারী-বটেশ্বরের প্রাচীন ইতিহাস অনুসন্ধানে তাঁর বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা, ইতিহাসখ্যাত দুটি গ্রন্থ (প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন : উয়ারী বটেশ্বর, ১৯৮৯ এবং উয়ারী-বটেশ্বর : শেকড়ের সন্ধানে, ২০১২) রচনা এবং প্রত্ননিদর্শন সংগ্রহ, জাদুঘরে সংরক্ষণ, প্রত্নগবেষণা ও খননকালে তাঁর সহায়তার সকল কর্মের জন্যে এই স্বশিক্ষিত বরেণ্য প্রত্নবিদকে ইতিহাস এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

শিক্ষকতার পাশাপাশি মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্ননিদর্শন সংগ্রহ ও গবেষণা নিয়েই কর্মজীবন শেষ করেননি। তাঁর জীবনের আরেকটি বড়ো কাজ হচ্ছে বাবার মতো লোকসাহিত্যের সংগ্রহ ও গবেষণা। লোকসাহিত্য নিরক্ষর বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর লোকমনের সৃজনশীল ফসল। লোকসাহিত্য অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষজনের বাণী সাধনা নয়। লোকসাহিত্য সাধারণ জনমানবের সুখ-দুঃখের বাস্তব অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ, যার গভীর সম্বন্ধ বৃহত্তর জনমানবের শেকড়ের সাথে। সেদিক থেকে লোকসাহিত্যের গুরুত্ব অনেক। লোকসাহিত্যের অনেক শাখা। লোককাহিনি, লোককথা, ছড়া, রূপকথা, গীত, গীতিকা, প্রবাদ-প্রবচন, ধাঁধা ইত্যাদি। লোকসাহিত্যের এসব শাখার নিদর্শন সংগ্রহ এবং গবেষণা করেছেন হাবিবুল্লা পাঠান। তাঁর অধিকাংশ গবেষণা গ্রন্থই লোকসাহিত্য-সংস্কৃতিভিত্তিক। হাবিবুল্লা পাঠানের লোকসাহিত্য-নির্ভর প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকা দেখলেই তা উপলদ্ধি করা যায় :

বাংলাদেশের লোককাহিনী, ১ম খণ্ড
(নরসিংদীর লোককাহিনী সংগ্রহ), ১৯৯৬

বাংলাদেশের লোককাহিনী, ২য় খণ্ড
(নেত্রকোণার লোককাহিনী সংগ্রহ), ১৯৯৭

বাংলাদেশের লোককাহিনী, ৩য় খণ্ড
(ব্রাক্ষণবাড়িয়ার লোককাহিনী সংগ্রহ), ১৯৯৮

নরসিংদীর কবি-সাহিত্যিক, ১৯৯৬

নরসিংদীর লৌকিক খেলাধুলা, ১৯৯৮

নরসিংদী-গাজীপুরের লোকঐতিহ্য
বিবাহ ও মেয়েলী ছড়াগীত, ২০০০

বাংলাদেশের ভাটকবি ও কবিতা, ২০১২

বাংলা প্রবাদে লোককাহিনী, ২০১২

নরসিংদীর স্থাননাম উৎস ও বৈশিষ্ট্য সন্ধান, ২০১৬

নরসিংদীর লোককবি, ২০১৮

প্রত্যেকটি গ্রন্থেই তাঁর কাজের সযত্ন স্বাক্ষর রয়েছে। দেরিতে হলেও লোকসাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০২০’ পেয়েছেন। তাঁর এই সম্মানে আমরা নরসিংদীবাসী গর্বিত হয়েছি।

বাংলা লোকসাহিত্যের নানা নিদর্শন সংগ্রহ এবং সম্পাদনা খুব সহজ কাজ নয়। এক্ষেত্রেও হাবিবুল্লা পাঠানের যোগ্যতার স্বাক্ষর সুস্পষ্ট। বাংলাদেশের লোককাহিনী ৩ খণ্ডে প্রকাশিত গ্রন্থের প্রত্যেকটিতে তাঁর সম্পাদনাকর্ম, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকথা এবং কাহিনীগুলোর সযত্ন বিন্যাস লোকসাহিত্যের পাঠক-গবেষকদের মুগ্ধ করেছে। প্রথম খণ্ডে নরসিংদী অঞ্চলের, দ্বিতীয় খণ্ডে নেত্রকোণার এবং তৃতীয় খণ্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা অঞ্চলের সংগৃহীত লোককাহিনী সন্নিবেশিত হয়েছে।

হাবিবুল্লা পাঠানের বাবা হানীফ পাঠান লোকসাহিত্যের অন্যতম শাখা বাংলা প্রবাদ সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও সম্পাদনায় অসাধারণ কাজ করেছেন, যা বিভিন্ন খণ্ডে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং বাংলা লোকসাহিত্যের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠানও বাংলা প্রবাদ সংগ্রহপূর্বক তার সাথে প্রবাদের উৎস অনুসন্ধান এবং প্রতিটি প্রবাদের সাথে লোককাহিনী যুক্ত করে অসাধারণ গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তাঁর একটি বিশেষ গবেষণামূলক কাজ বাংলাদেশের ভাটকবিতা সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা। ‘নরসিংদীর স্থাননাম উৎস ও বৈশিষ্ট্য সন্ধান’ গবেষণা গ্রন্থটিও তাঁর পরিশ্রমী কাজের আরেকটি বড়ো স্বাক্ষর।

ব্যক্তিগত জীবনে হাবিবুল্লা পাঠান একজন সাদাসিধে ও সরল মানুষ। সাধারণ তাঁর জীবনযাপন। কিন্তু ব্যক্তিত্ব, বাচনভঙ্গি, জ্ঞান-প্রজ্ঞা-মননে সবাইকে মুগ্ধ করেন। কোনো ক্ষেত্রেই তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশি ছিলো না। সকল ক্ষেত্রে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত এই মানুষটি অনেক উঁচু মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন।

স্বশিক্ষাই তো প্রকৃত শিক্ষা। স্বশিক্ষার মাধ্যমেই তো প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়, যা পরিশেষে সুশিক্ষায় রূপ লাভ করে। কল্যাণকর ও সৃষ্টিশীল সুশিক্ষাই শ্রেষ্ঠ শিক্ষা। এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষাকে ধারণ করেই হাবিবুল্লা পাঠান সারাজীবন শিক্ষকতা করেছেন। প্রত্নগবেষণা এবং লোকসাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করেছেন। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হয়েছেন। জ্ঞানের শক্তিকে ধারণ করে দূর করেছেন সকল অন্ধকার। ইতিহাসের সত্য, সভ্যতার সত্য, জীবনের সত্যকে অনুসন্ধান করেছেন।

প্রকৃত অর্থে, সত্য এবং সুন্দরের প্রকাশই মানবধর্ম। সত্যই আলো, অসত্যই অন্ধকার। হাবিবুল্লা পাঠান ইতিহাসের, সভ্যতার এবং লোকজীবনের প্রকৃত সত্য এবং কল্যাণকে ধারণ করে বড়ো মাপের মানুষ হিসেবে সকলের মাঝে স্থান করে নিয়েছেন। নিভৃত পল্লীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেও হাবিবুল্লা পাঠান নীরব সাধনায় প্রত্নতত্ত্ব ও লোকসাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা এবং গবেষণা করে যে-ফসল রচনা করেছেন, সময়-ইতিহাস-ভবিষ্যত তাঁকে মর্যাদার সাথে বাঁচিয়ে রাখবে।


গোলাম মোস্তাফা মিয়া
সাবেক অধ্যক্ষ, নরসিংদী সরকারি কলেজ

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ