শেখেরচর-বাবুরহাট। সমগ্র বাংলাদেশের প্রধান বস্ত্রশিল্পকেন্দ্র। সারাদেশ হতে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই হাটে তাদের কাপড় কেনা-বেচা করে। পাবনা-সিরাজগঞ্জ বস্ত্রশিল্পের আরো দুটি কেন্দ্র, কিন্তু শেখেরচর হাটের মতো এতো বিশাল নয়।

ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের একদম লাগোয়া পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে নরসিংদী জেলার শীলমান্দী ইউনিয়নে এটি অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ০.১৪ বর্গ কিলোমিটার। তবে আয়তন প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মানুষের চাহিদা বাড়ছে, আর এই অঞ্চলের মানুষের প্রধান পেশাই হচ্ছে তাঁতবস্ত্র উৎপাদন ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা। তাই প্রায় সবাই এ-ধরনের পেশায় আত্মনিয়োগ করছে। ফলে এই হাটের আয়তন দিন দিন বেড়েই চলেছে। শেখেরচর বাজার বণিক সমিতির দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই হাটে স্থায়ী দোকানের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের মতো এবং প্রতি সপ্তাহে এখানে দুশো থেকে আড়াইশো কোটি টাকার লেনদেন হয়। বর্তমানে এই হাটের ব্যবসায়ীদের হাট-কর্তৃপক্ষকে কোনো প্রকার খাজনা দিতে হয় না। তারা সরাসরি সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা দেন।
(ছবিতে) শেখেরচর–বাবুরহাটের মানচিত্র
বহু জায়গায় খোঁজ-খবর ও দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও শেখেরচর-বাবুরহাটের পুরোনো বা নতুন কোনো মানচিত্র পাওয়া যায়নি। সবশেষে গুগল ম্যাপ, জুম আর্থ এবং বাবুরহাটে সরেজমিন পরিদর্শনের ভিত্তিতে এই মানচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখি, ক্রমশ বাড়তে থাকা এই হাটের সীমানা নির্দেশে একেবারে নিখুঁত মাপ নেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে কিছুটা ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা থেকেই যায়।
সেই প্রাচীন তাম্রযুগ থেকেই এ-অঞ্চল বস্ত্রশিল্পের জন্যে প্রসিদ্ধ ছিলো। আদি মসলিনের সূতিকাগার ছিলো ঢাকা-সোনারগাঁ ও মহেশ্বরদী পরগণার গোটা অঞ্চল। বর্তমান নরসিংদী জেলা মহেশ্বরদী পরগণার অন্তর্ভুক্ত একটি সমৃদ্ধ জনপদ ছিলো।
মাধবদীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একসময় আড়ং বসতো। আনন্দী গ্রামের সন্নিকটে ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আড়ং নামের কাপড়ের এই হাট জমজমাট ছিলো। মাধবদী-শেখেরচর তাঁতশিল্পকেন্দ্র হওয়ার নেপথ্যে এই আড়ং নামের হাটের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এই কাপড়ের হাট ক্রমে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এ-অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে হাট চলতে থাকে। কেননা, এ-অঞ্চলে সুতা থেকে কাপড় উৎপাদন প্রায় প্রতিটি গ্রামেই বিদ্যমান ছিলো। এসবের ফলাফলস্বরূপ গত শতকের তিরিশের দশকের প্রথমেই যখন মাধবদীর জমিদারদের দ্বারা সুতা-কাপড়ের হাট প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন একটা স্থায়ী রূপ পায়, যা অদ্যাবধি চলছে।
মাধবদী হাটে জমিদারদের সঙ্গে পাইকারদের খাজনাকেন্দ্রিক জটিলতায় যখন শেখেরচর বাজারের উৎপত্তি ঘটে, তখন থেকেই ধীরে ধীরে মাধবদী হাট ‘সুতার হাট’, আর শেখেরচর বাজার ‘কাপড়ের হাট’ হিসেবে পরিচিত হতে শুরু করে।
শেখেরচর-বাবুরহাটে পাইকাররা শুরুতে নদীপথে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতো। পরবর্তীতে পঞ্চাশের দশকে মমিন মটর কোম্পানি নরসিংদী-তারাব সড়ক ও তাদের পরিবহন ব্যবসা শুরু করে। পাশাপাশি নরসিংদী-মাধবদী-নারায়ণগঞ্জ রুটে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে পাইকাররা সড়ক ও রেলপথেও যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে শুরু করে। নদী-সড়ক-রেলপথ একসাথে চালু থাকার কারণে বাবুরহাটের ব্যবসায়ের পরিধি হু হু করে বাড়তে থাকে। পরর্তীতে অবশ্য রেলপথটি বন্ধ হয়ে যায়।
মাধবদী আর শেখেরচর— এই দুই সুতা-কাপড়ের গুরুত্বপূর্ণ বাজারকে কেন্দ্র করে পঞ্চাশের দশক থেকেই গোটা অঞ্চলে সুতা থেকে কাপড় বুননের দেশি নানান যন্ত্রপাতি থেকে বিদেশি যন্ত্রপাতি আমদানি হতে শুরু করে এবং তা দ্বারা উন্নত মসৃণ কাপড় তৈরি শুরু হয়। এই মেশিনের বিপ্লব একদিনে হয়নি। ধীরে ধীরে নানান বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আধুনিক ও গতিশীল বস্ত্র উৎপাদনে প্রবেশ করেছে এ-অঞ্চলের তাঁতীরা।
জাপানি তাঁতকল আমদানি করে মাধবদীর আলগী গ্রামের স্কুলশিক্ষক হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য প্রথমে তাঁতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন, এ-প্রসঙ্গে তাঁকে স্মরণ করা যাক। এরপর থেকে আজ অবধি নানা ধরনের চায়না-জাপানি-কোরিয়ান আধুনিক-উত্তরাধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা বস্ত্র উৎপাদনের যে-ইতিহাস, তা এই গোটা অঞ্চলকে সুতা ও বস্ত্র উৎপাদনের এক মহাজোনে পরিণত করেছে।
শেখেরচর হাট সপ্তাহে তিনদিন বসে। এখন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে শনিবার শেষ হয়। বৃহস্পতিবার ভোর হতেই সারাদেশ থেকে কাপড়ের পাইকাররা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা হাটে জনসমাগমের যে-বিস্তার শুরু হয়, তা অভাবনীয়। ভ্যান, রিকশা, নসিমন, ট্রাক, পিকআপ ইত্যাদি যানের এক মহাযুদ্ধ চলে দিনমান। এখানে গলির সংখ্যা কতো, এটা কেউ বলতে পারে না। একেক গলিতে একেক ধরনের বস্ত্র। নানা জাতের বস্ত্র, যা এই হাটে নিত্য কেনা-বেচা হয়, সেসবের নাম জানা যাক। শাড়ি, লুঙি, গামছা, থ্রি-পিছ, শার্টিং, বেডশিট, পর্দা, মশারি, ছাপা কাপড় (ভয়েল, পপলিন, টিসি, টরে, মার্কিন, লালসালু, ক্যানভাস, টুইল, পলিয়েস্টার ইত্যাদি)-সহ আরো বহু ধরনের কাপড় এখানে সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন।
১৯৩৬ সালে এই শেখেরচর-বাবুরহাট প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে এই ৮৬ বছর ধরে চলা কাপড়ের হাটটি এই অঞ্চলের অর্থনীতির সার্বিক গতি পরিবর্তন করার সাথে সাথে জাতীয়ভাবেও প্রভূত ভূমিকা রেখেছে। এই হাট দুই কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মাধবদীর সুতার হাটের অর্থনীতির উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। মাধবদীতে সুতা কেনা-বেচা হয়, আগেই বলেছি। কটন, পলিয়েস্টার, টিসি, ডেনিমসহ যাবতীয় সুতার আইটেমের পাইকারি ও খুচরা বাজার এটা। এই সুতার বাজারের সাথে সরাসরি কানেক্টেড নারায়ণগঞ্জের মতো সর্ববৃহৎ সুতার বাজার। সারাদেশে সুতা উৎপাদনকারী কারখানা, অর্থাৎ স্পিনিং মিলগুলো আবার যুক্ত নারায়ণগঞ্জ ও মাধবদীর সাথে।
আসেন, এই বাজারগুলোর পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করি। মাধবদী বাজার থেকে নানা ধরনের সুতা কিনে বস্ত্র উৎপাদনকারী মেশিনঅলারা প্রথমে যে-কাপড় তৈরি করে, তা হলো ‘গ্রে কাপড়’। এটা মোটাদাগে শাদা রঙের হয়। এই কাপড় বিক্রি হয় মাধবদী হাটে। প্রধানত সপ্তাহে একদিন। মঙ্গলবার। এই মঙ্গলবারের গ্রে কাপড়ের বেচা-কেনার উপর নির্ভর করে সারা সপ্তাহের সুতার দর নির্ধারণ ও সুতা বিক্রির পরিমাণ। এই দর নির্ধারণ করে প্রধানত নারায়ণগঞ্জের বড়ো বড়ো সুতা ব্যবসায়ীরা (মাধবদীর বড়ো সুতার ব্যবসায়ীরাও কেউ কেউ যুক্ত থাকেন)। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সুতার সাপ্তাহিক লেনদেনের দিন হচ্ছে বুধবার। তারা বুধবার মাধবদী মোকাম করেন। তারপর মঙ্গলবারের গ্রে কাপড়ের বেচা-কেনার গতিপ্রকৃতি অবলোকন করে বৃহস্পতিবার পরের সপ্তাহের সুতার দর নির্ধারণ করেন।
এদিকে মাধবদীর ব্যবসায়ীদের গ্রে কাপড় ইতোমধ্যে নানা প্রক্রিয়া (সাইজিং, ডাইং, ক্যালেন্ডারিং ইত্যাদি)-র মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার শেখেরচরের হাটে ওঠে। এখানে বলে রাখা অতীব জরুরি যে, সপ্তাহের তিনদিন শেখেরচরের এই ছাপা কাপড়ের হাটের ভালো-খারাপের সাথে মাধবদী-নারায়ণগঞ্জের সুতার দর নির্ধারণ সরাসরি সম্পর্কিত। সুতা ব্যবসায়ীদের প্রথমেই চোখ থাকে, শেখেরচরের হাট কেমন গেলো এই সপ্তাহে! অর্থাৎ উপরের এই সাইকেল একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাধবদী-নারায়ণগঞ্জের সমস্ত প্রক্রিয়ার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে শেখেরচর হাটে এসে।
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ ফ্যাশন হাউজগুলো বাবুরহাটের কাপড় দিয়েই তাদের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করে। ‘আড়ং’ নামের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য ফ্যাশন হাউজটি টিকেই আছে শেখেরচর-বাবুরহাটের সরবরাহকৃত কাপড় দ্বারা। শেখেরচরে প্রায় শতাধিক টেক্সটাইল আড়ংয়ে কাপড় সরবরাহ করে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। গত ২০ বছর ধরেই এটা চলছে এবং ক্রমশ এ-ধরনের টেক্সটাইল মিলের সংখ্যা শেখেরচর ও আশেপাশের এলাকায় বেড়েই চলেছে। আড়ংয়ে মাল দেয়াই তাদের প্রধান বাণিজ্যধরন। ফ্যাশন হাউজ ‘আড়ং’ প্রতিবছর শেখেরচরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বড়োসড়ো মিলনমেলার আয়োজন করে থাকে।
আবার চলে আসি শেখেরচর বাজারের ভেতরে। এই বাজারটিকে উপর থেকে দেখলে খুব ছোট্টো একটি বাজার বলেই মনে হয়। শেখেরচরের হাইরাইজ বিল্ডিং হোটেল এক্সের উপরে উঠে দেখেছি, বিল্ডিং আর টিনশেডের ব্যাপক বিস্তার, তবে আয়তন খুব বড়ো নয়। কিন্তু আসল ব্যাপারটা ঘটে বাজারের একদম ভেতরে প্রবেশ করলে। ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে থেকে হাটের ভেতর যেতে তিনটি প্রবেশমুখ রয়েছে। একটি মাজার বাসস্ট্যান্ড, আরেকটি মধ্য বাসস্ট্যান্ড এবং অন্যটি হলো মূল বাসস্ট্যান্ড (সেই ঐতিহাসিক বাঁকমোড়া নামক স্থান, যেখানে বাজারের গোড়াপত্তন হয়েছিলো)। যেদিক দিয়েই আপনি প্রবেশ করেন না কেনো, ভেতরে ঢোকামাত্রই গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাবেন। ঢাকা শহরের বায়ান্নো বাজার তিপান্নো গলির কথা শুনেছেন নিশ্চয়, কিন্তু এই আপাত ছোট্টো একটা বাজারে যে কয়টি গলি, তা বাজারে অবস্থানকারী দোকানিরাও ঠাহর করতে পারেন না। একেক আইটেমের নামে অবশ্য গলি বা পট্টি রয়েছে। যেমন : লুঙ্গি পট্টি, মশারি পট্টি, গামছা পট্টি, লট পট্টি ইত্যাদি।
শেখেরচর বাজারের আশেপাশের এলাকার লোকজন এই বাজারকে ধারণ করে গত ৮৬ বছরে প্রভূত উন্নতির শিখরে আরোহণ করেছে। তবে এই উন্নতি কেবল অর্থনৈতিক। পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতির তেমন কোনো উন্নয়ন ঘটেনি।
শেখেরচর-বাবুরহাটের বাজার এখন কেমন যাচ্ছে? অর্থাৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা কেমন? আমরা অনেক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করে জেনেছি, ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ ‘সুতার বাজার’। সুতা থেকে ছাপা কাপড় হয়ে শেখেরচরে আসতে যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে, সুতার উচ্চ দামের কারণে সেসব ধাপেও খরচ দ্বিগুণ-তিনগুণ ধরতে হচ্ছে। গত এক বছর যাবত সুতার বাজার ভয়াবহ রকমের অস্থিতিশীল। বিশ্ববাজার বা তুলার দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে মাধবদী-নারায়ণগঞ্জের বড়ো বড়ো সুতা ব্যবসায়ীরা সুতার দাম প্রতি সপ্তাহেই আকাশচুম্বী করে রাখে। সরকার এ-বিষয়ে কোনো মনিটরিং করে না। যার ভয়াবহ প্রভাব গোটা বস্ত্রশিল্পকে একটা নাজুক অবস্থায় ফেলে রাখছে।
প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার খ্যাত ‘শেখেরচর-বাবুরহাট’ তার দীর্ঘ ঐতিহ্যিক ধারাবাহিকতায় আপন মহিমায় সারা বাংলাদেশের তাঁতবস্ত্রের যোগান অব্যাহত রেখেছে। এটা শেখেরচর-মাধবদী তথা নরসিংদীর গৌরব।
গত শতকের প্রথমদিকে নরসিংদীর প্রজাঅন্তপ্রাণ জমিদার ললিতমোহন রায় তার দাদার নামে হাড়িধোয়া নদীর পাড়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘কৃষ্ণগঞ্জ’ বাজার। সবধরনের মনোহারি দ্রব্যের পাশাপাশি বাজারটিতে সুতা-কাপড়েরও ছোট্টো একটি বাজার গড়ে ওঠেছিলো। দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসতো। কিন্তু বাজারের খাজনা বৃদ্ধির ধুয়া তুলে পাইকাররা এখানেই প্রথম অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং একজোট হয়ে মাধবদীর জমিদারের কাছে যায় তাদের কাপড়ের হাটের জায়গা দেয়ার জন্যে। জমিদার তাদের জায়গা দেয় এবং ধীরে ধীরে হাট জমজমাট হতে শুরু করে। আর তখনই একই বিপত্তি বাধে। আবার খাজনাকেন্দ্রিক জটিলতা। আবার বিদ্রোহ, অসন্তোষ। পাইকাররা আবার দুই কিলোমিটার উত্তরে তালুকদার হলধর সাহার কাছে হাটের জায়গার আবেদন করে এবং নতুন আরেকটি হাটের সৃষ্টি হয় ‘শেখেরচর-বাবুরহাট’।
মূলত পাইকারদের এই ক্রমশ অসন্তুষ্টির ফলাফলস্বরূপ মহেশ্বরদী পরগণার এই অঞ্চলে সুতা-কাপড়ের এক অভাবনীয় বাজার গড়ে ওঠে, যা এখন বাংলাদেশের প্রধান বস্ত্রবাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
শেখেরচর-বাবুরহাটের এই বস্ত্রকেন্দ্র তার স্বমহিমায় টিকে থাকুক, এটাই প্রত্যাশা সবার।
আলোকচিত্র : শহিদুল্লাহ পিয়াস