নরসিংদীতে যেভাবে বিজয় অর্জিত হয় : সংক্ষিপ্ত পাঠ

১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খণ্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির নির্মমতার শিকার হয়ে শহীদ হন ১১৬ জন বীর সন্তান। এর মধ্যে নরসিংদী সদরের ২৭ জন, মনোহরদীর ১২ জন, পলাশের ১১ জন, শিবপুরের ১৩ জন, রায়পুরার ৩৭ জন ও বেলাব উপজেলার ১৬ জন।

রাজনৈতিকভাবে অগ্রসরমান ঢাকার অদূরের নরসিংদী জেলায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো এক অদম্য শক্তি নিয়ে, স্বপ্রণোদিতভাবে। যুদ্ধ অনভিজ্ঞ তরুণ ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, জনতা মুক্তির স্পৃহায় অটুট মনোবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। মনোবলই যে অধিকতর শক্তিশালী, পুরো যুদ্ধকালীন তার প্রমাণ রেখেছেন নরসিংদীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

১৯৭১-এর পাকিস্তানি বাহিনির নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথা মনে করে এখনো ভয়ে আতকে ওঠেন নরসিংদীবাসী। স্বজন হারানোদের কান্নায় এখনো ভারি হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনির নির্মমতার সাক্ষী ২২ টি গণকবর রয়েছে নরসিংদী জেলাজুড়ে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে এসব গণকবর। সংরক্ষণ না করায় অরক্ষিত এসব গণকবরের শেষ চিহ্নটুকু মুছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নরসিংদীর এমন কোনো স্থান নেই, যেখানে ৭১-এ শত্রু সেনাদের নিষ্ঠুর ছোবল পড়েনি। ১৯৭১ সালে নরসিংদী জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি বাহিনির সদস্যরা। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকেই নরসিংদী জেলায় প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। ৭১-এ বর্তমান জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৭/২৮ জনকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প নরসিংদীর টেলিফোন এক্সচেঞ্জে আটক রাখা হতো। নির্যাতন শেষে তাদের নিয়ে যাওয়া হতো বর্তমান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা মোড় সংলগ্ন লোহারপুলের নিচে। সেখানে ৪/৫ জনকে বসিয়ে রেখে তাদের সামনে ২০/২২ জনকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনি। হত্যা শেষে লোহারপুলের নিচে সবাইকে একসঙ্গে মাটিচাপা দেয়। আজো স্থানীয় বাসিন্দাদের কানে সেদিনের আর্ত চিৎকারের শব্দ ভেসে আসে। বোমা বর্ষণ ও নরসিংদী দখলের পর পাকিস্তানি বাহিনির নির্মম নির্যাতনের কারণে বিক্ষুদ্ধ অসহায় জনতা আক্রোশে ফুঁসতে থাকে। নরসিংদীর নেতারা, ইপিআর, বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সৈন্য এবং যুবক শ্রেণি দ্রুত নরসিংদী শহর ছেড়ে চলে যায়।

৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খণ্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। ৭১-এর মার্চে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি হানাদার বাহিনিকে প্রতিরোধ করতে নরসিংদীতে ইপিআর, আনসার ও পুলিশ বাহিনির সঙ্গে মিলিত হয়। এতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা তাদের স্বাগত জানায়। নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে শত শত যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে শুরু হয় প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ও চোরাগুপ্তা হামলা।

মুক্তিযুদ্ধে নরসিংদী জেলা ছিলো ২ নং সেক্টরের অধীনে। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তৎকালীন মেজর জেনারেল সফিউল্লাহ। নরসিংদীকে ৩ নং সেক্টরের অধীনে নেয়া হলে কামান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এএনএম নূরুজ্জামান (পরবর্তীতে যিনি ছিলেন রক্ষীবাহিনি প্রধান)।

নরসিংদী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মোতালিব পাঠান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নরসিংদীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। সশস্ত্র যুদ্ধে জেলার বিভিন্ন স্থানে শত শত নারী-পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে গণকবর দিয়েছিলো পাকিস্তানি বাহিনি। গণকবরগুলোর বেশিরভাগই চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার এসব সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াবহ রাতের পর ৪ এপ্রিল পাকিস্তানিদের বিমান হামলায় নরসিংদী শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিলো। এ-হামলায় শহীদ হন আব্দুল হক, নারায়ণচন্দ্র সাহা, চাঁদ মোহন দাস, জগদীস দাস, নির্মল দাসসহ নাম না জানা আরো অনেকে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নরসিংদীর পাঁচদোনা ব্রিজে বিভিন্ন যানবাহন থেকে নামিয়ে পাকসেনা ও তাদের দোসর রাজাকাররা নিরীহ মানুষদের হত্যা করে ব্রিজের নিকট গণকবর দিয়েছে। এ-স্থানটি বধ্যভূমি হিসেবে সরকার কর্তৃক চিহ্নিত করা হয়েছে এবং জেলার সবগুলো বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নরসিংদীতে অনেকগুলো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। স্বাধীন মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মুক্তিবাহিনিরা মার্চ মাস থেকেই সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে পাক বাহিনির অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দেয়।

২৩ মে তৎকালীন মুসলীম লীগ নেতা মিয়া আবদুল মজিদ মুক্তিসেনাদের গুলিতে নিহত হন। এরপরই পাক বাহিনি নরসিংদী টেলিফোন ভবনে ঘাঁটি স্থাপন করে। স্থানীয় টাউট, দালাল ও রাজাকারদের যোগসাজশে হানাদার বাহিনিরা প্রতিদিন চালায় ধর্ষণ, নরহত্যা ও লুটতরাজ। অপরদিকে বাংলার মুক্তি পাগল ছেলেরা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেয় এবং আঘাত হানে শত্রু শিবিরে।

নরসিংদী সদর উপজেলায় নেহাব গ্রামের ন্যাভাল সিরাজের নেতৃত্বে হানাদার প্রতিরোধ দুর্গ গড়ে তোলা হয়। ওই স্থান থেকে সমগ্র জেলায় মুক্তিযোদ্ধারা নিরলসভাবে তৎপরতা অব্যাহত রাখে। নরসিংদীকে মুক্ত করতে পাক বাহিনির সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা যেসব স্থানে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং গণহত্যা ও গণকবর ও বধ্যভূমি রয়েছে, সেই স্থানগুলো হলো— নরসিংদী সদর উপজেলার বাঘবাড়ী, পালবাড়ী, আলগী, পাঁচদোনা, খাটেহারা ব্রিজে প্রথম ও দ্বিতীয় রেইড, শীলমান্দি গ্রামে রেলগাড়ি অ্যাম্বুশ, অপারেশন বড়ৈবাড়ী, বাদুয়ারচরে বাড়িঘর পোড়ানো ও নির্যাতন, চিনিশপুর তিতাস গ্যাস সাব-স্টেশন রেইড, ইউনাইটেড মেঘনা চাঁদপুর (ইউএমসি) পাটকলে পণ্যবাহী জাহাজ ধ্বংস, তিতাস গ্যাস লাইন অপারেশন, আনন্দীতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার অপারেশন, ব্রাহ্মন্দী হাই স্কুলে আক্রমণ ইত্যাদি। শিবপুর উপজেলার পুটিয়া, ঘাসিরদিয়ার মাইন বিস্ফোরণ, অপারেশন ভরতের কান্দি, বানিয়াদির যুদ্ধ, চন্দনদিয়া, দত্তের গাঁও, দুলালপুর, মরজাল, যোশর বাজার, লেটারবর, কাটাঘাট বাজার। মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া বাজার, হেতিমদি, দশদোনা অ্যাম্বুশ, মনোহরদী ডাকবাংলো রেইড, হাতিরদিয়ার অ্যাম্বুশ, রামপুর অ্যাম্বুশ, পাতিরদিয়ায় গরুর গাড়ি বহরে আক্রমণ, ব্রহ্মপুত্র নদীতে লঞ্চ আক্রমণ, মনোহরদী থানা আক্রমণ, হানাদারদের চালাকচর বাজার ঘেরাও, গাইকাল অ্যাম্বুশ। রায়পুরা উপজেলার শ্রীরামপুর বাজার, রামনগর, মেথিকান্দা, হাটুভাঙ্গা, বাঙালিনগর, খানাবাড়ী, আমিরগঞ্জ ব্রিজ, গৌরীপুর গণহত্যা, কোহিনুর জুট মিল গণহত্যা, তেলিয়াপাড়ার যুদ্ধ, শ্রীরামপুর বাজার পোড়ানো, রামনগর ঘেরাও এবং গণহত্যা, রামনগরের দ্বিতীয় যুদ্ধ, মেথিকান্দা রেলস্টেশনে হানাদারদের আক্রমণ, রামনগর গ্যাস লাইন অপারেশন, রায়পুরা সদর কলোনির যুদ্ধ, দৌলতকান্দি প্রতিরক্ষা অভিযান, গৌরীপুর গণহত্যা, কোহিনুর জুট মিল হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি। বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর বাজার, পোড়াদিয়া বাজার অ্যাম্বুশ, বড়িবাড়ী ও নীলকুঠি নামক স্থানে গণহত্যা। পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ রেইড, ফৌজি চটকলের নিষ্ফল অপারেশন, পাক বাহিনির নেহাব গ্রাম ঘেরাও, নেহাব গ্রামের প্রতিরোধ যুদ্ধ, শীতলক্ষ্যা নদীতে গানবোট আক্রমণ, ঘোড়াশাল ব্রিজ অপারেশন, ভোলাব গ্রামের প্রতিরোধ যুদ্ধ, শিল্পাঞ্চলের যুদ্ধ, পাকিস্তানি সেনাবাহিনি ও তাদের দোসরদের চরাপাড়ায় আগুন ও হত্যা, ডাঙ্গায় গণহত্যা, ডাঙ্গা এলাকায় জ্বালাও-পোড়াও, খিলপাড়ায় গণহত্যা, আটিয়া গ্রামে গণহত্যা ও আগুন, জিনারদীর যুদ্ধ, মূলপাড়ার যুদ্ধ, জিনারদী রেলস্টেশন রেইড ও পার্শ্ববর্তী ছনপাড়া ও বাগহাটার কালভার্ট উড়ানো, ঘোড়াশাল ব্রিজ ও রেলস্টেশন রেইড, ন্যাশনাল জুট মিল হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি।

বেলাব যুদ্ধের সময় আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে বেলাব বড়িবাড়ী ও নীলকুঠির যুদ্ধে হানাদারদের হাতে শহীদ হন সুবেদার আবুল বাশার, মমতাজ উদ্দিন, আব্দুস সালাম ও আব্দুল বারী। এছাড়া পাক হানাদার বাহিনি বড়িবাড়ী বাজনাবর নিরীহ ৮/১০ জনকে ধরে এনে একসঙ্গে গুলি করে হত্যা করে এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাক বাহিনিরা রাজাকারদের সহযোগিতায় নরসিংদী জেলার ২২ টি স্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলো।

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকালে ভারতীয় সেনাবাহিনির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামচরণ সিংয়ের নেতৃত্বে একটি ব্রিগেড ১১ টি হেলিকপ্টার নিয়ে নরসিংদী শহরের পার্শ্ববর্তী বালুশাইর চকে অবতরণ করে। এরপর ভারতীয় বিমান বাহিনির মিগ-২১ যুদ্ধবিমান নিয়ে নরসিংদী শহরের পাক বাহিনির ক্যাম্প লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা বর্ষণ শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে পাকসেনারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাছাড়া জিনারদী রেলস্টেশনের পূর্বপাশে পাটুয়া গ্রামে সংঘটিত হয় একটি যুদ্ধ। যুদ্ধটি ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ-যুদ্ধের মধ্যেই নিহিত ছিলো নরসিংদীকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করার মুহূর্তটি। ইতোমধ্যেই নরসিংদীর আশপাশের থানাগুলো থেকে হানাদার বাহিনি তাদের তল্পিতল্পা গুটাতে বাধ্য হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে তাই নরসিংদীর হানাদাররাও যেকোনো মুহূর্তে ঢাকা চলে যাওয়ার জন্যে উদগ্রীব হয়ে পড়ে। সম্ভবত, এমনি একটি দল ১২ ডিসেম্বর সকালবেলা জিনারদী রেলস্টেশনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে এ-খবর পৌঁছামাত্র ন্যাভাল সিরাজের নেতৃত্বে একটি দল পাটুয়া গ্রামে হানাদারদের গতি রোধ করে। শুরু হয় প্রচণ্ড যুদ্ধ। প্রায় ঘণ্টাখানেক যুদ্ধ চলার পর মনোবল ভাঙা ২১ জন হানাদার অস্ত্র-শস্ত্রসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ফলে ১২ ডিসেম্বর নরসিংদীকে সম্পূর্ণ মুক্ত এলাকা বলে ঘোষণা করা হয় এবং বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে বিজয় মিছিল বের করা হয়। ২১ জন হানাদারের মধ্যে ২ জন মারাত্মক আহত হওয়ায় তাদেরকে হত্যা করা হয়। বাকি ১৯ জনকে স্বাধীনতার পর ১৭ জানুয়ারি মেজর হায়দারের মাধ্যমে রমনা থানায় জমা দেয়া হয়। এমনিভাবে নরসিংদীতে সমাপ্তি ঘটে নয় মাসের শ্বাসরুদ্ধকর মুক্তিযুদ্ধের। মুক্তির আনন্দে জনগণ উদ্বেল হয়ে ওঠে এবং লাভ করে পরম শান্তি। মুক্তিযোদ্ধারা লাভ করে জনগণের অকুণ্ঠ ভালোবাসা।

নরসিংদীর ৬ উপজেলার বীর সন্তানেরাই মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাদের মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান, প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, প্রয়াত সাংসদ আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু, প্রয়াত সাংসদ মেজর (অব.) সামসুল হুদা বাচ্চু, সাবেক সাংসদ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন, সাবেক সাংসদ সরদার শাখাওয়াত হোসেন বকুল, সাবেক সাংসদ আব্দুল আলী মৃধা, ন্যাভাল সিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, ফজলুর রহমান ফটিক মাস্টার, আজিজুর রহমান ভুলু, মজনু মৃধা, আব্দুল রাজ্জাক ভূঁইয়া, কাজী হাতেম আলী, প্রয়াত হাজী গয়েছ আলী মাস্টার, প্রয়াত নূরুল ইসলাম কাঞ্চন, আলী আকবর, মো. আমানুল্লাহ, সিরাজুল হক, তাজুল ইসলাম খান, অধ্যাপক মো. ইউনুছ, আব্দুল মোতালিব পাঠান, মীর এমদাদ, মো. নূরুজ্জামান, আব্দুল লতিফ, হাবিবুল্লাহ বাহার, নিবারণ রায়, মনছুর আহম্মেদ, আলী আকবর সরকার, নূরুল ইসলাম গেন্দু, বাবর আলী মাস্টার, আবেদ আহমেদ, আব্দুল হাই, সমশের আলী ভূঁইয়া, মতিউর রহমান মাস্টার, আব্দুল মান্নান খান, তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, বিজয় চ্যাটার্জী, ইমাম উদ্দিন ও সাদেকুর রহমান অন্যতম।

মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে শহীদ হয়েছেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক সরোজ কুমার অধিকারী, ড. সাদত আলী, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মোহাম্মদ সামসুজ্জামান ও মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।

মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্যে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন নরসিংদীর ৯ জন। তারা হলেন ফ্লাইট লে. শহীদ মতিউর রহমান (বীরশ্রেষ্ঠ), লে. কর্নেল আব্দুর রউফ (বীরবিক্রম), সুবেদার খন্দকার মতিউর রহমান (বীরবিক্রম), বিগ্রেডিয়ার (অব.) এএনএম নূরুজ্জামান (বীরবিক্রম), সুবেদার ফজলুর রহমান (বীরবিক্রম), শহীদ মো. শাহাবুদ্দিন নান্টু (বীরবিক্রম), ন্যাভাল সিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ (বীরপ্রতীক), লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম হিরু (বীরপ্রতীক), হাবিলদার মো. মোবারক হোসেন (বীরপ্রতীক)।


ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন
চেয়ারম্যান, নরসিংদী প্রেসিডেন্সি কলেজ

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ